অপরাধ প্রমাণিত হলে নাসিরদের যে সাজা হবে

ইমান২৪.কম: ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও হুমকির অভিযোগে নাসির উদ্দীনসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। গতকাল সোমবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় তিনি মামলাটি করেন। পরীর মামলার পরেই আটক করা হয় নাসিরসহ আরও ৫ জন আসামিকে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কয়েকজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

জানা যায়, নাসিরের বাসায় অভিযানে দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্যসহ ইয়াবার সন্ধান মিলেছে। পুলিশ জানায়, এজন্য নাসিরের বিরুদ্ধে মাদকনিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে। এদিকে নাসির এবং বাকি আসামিদের উপর আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে কি ধরণের সাজা হতে পারে এ নিয়ে দেখা গেছে জনমনে নানা কৌতূহল। এ নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।

হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে বলা হয়েছে দণ্ডবিধি ৩০৭ ধারায়। বলা হয়, যে ব্যক্তি এইরূপ অভিপ্রায় বা অবগতি সহকারে এবং এইরূপ অবস্থায় কোনো কার্য-সম্পাদন করে যে যদি উক্ত কার্যের দ্বারা সে মৃত্যু ঘটাতো তাহলে সে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হতো। সেই ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ দশ বছর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি জরিমানা দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

আর যদি উক্ত কার্যের সাহায্যে কোনো ব্যাক্তিকে আঘাত করা হয়, তাহলে অপরাধকারী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা ইতিপূর্বে উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হবে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিগণ কর্তৃক উদ্যোগ এই ধারার অধীনে অপরাধকারী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাধীন থাকার ক্ষেত্রে আঘাত করা হলে তার মৃত্যুদণ্ড বিধান রাখা যাবে।

ধর্ষণ চেষ্টা নিয়ে বলা আছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯ (খ) ধারায়। বলা হয়, কেউ যদি ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

পরীমণি দাবি করেন, গেল রবিবার (১৩ জুন) রাতে পরীমণির অভিযোগ গ্রহণ করেনি থানা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর আইনি প্রতিকারে বলা আছে, যেকোনো অপরাধ সংঘটনের পর নিকটস্থ থানা মামলা নিতে বাধ্য। যদি না নেয় তাহলে একটি হলফনামা দিয়ে বাদিকে বলতে হবে যে, থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু মামলা নেয়নি। এই হলফনামাসহ তিনি কোর্টে মামলা করতে পারবেন। অন্যথায় তিনি হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করতে পারেন। এই মামলায় হাইকোর্ট মামলা নেয়ার আদেশ দিতে পারেন।

ফেসবুকে লাইক দিন