জনগণের ধাওয়া খেয়ে মুখ খুললেন এমপি আক্তারুজ্জামান!
ইমান২৪.কম: খুলনার কয়’রার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় ক’পোতাক্ষ ন’দের ভে’ঙে যাওয়া বাঁধ স্বে’চ্ছাশ্রমে মেরামত করছিলেন কয়েক শ মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাঁধ মেরামতের কাজে নেমে পড়েন তারা।
কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি ট্রলা’রে করে সেখানে যান খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের এমপি মো. আক্তারুজ্জামান।এ সময় বাঁধে কাজ করা উ’ত্তেজিত জনতা এমপিকে দেখেই ক্ষি’প্ত হয়ে ওঠেন। কাঁদা ছু’ড়ে মা’রতে থাকেন ট্রলারের দিকে।
বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ট্র’লার নিয়ে চলে যান সাংসদ। ওই ঘ’টনার একটি ভি’ডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এমপি মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমি সকালে এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে গিয়ে’ছিলাম।
ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা ঠিক না। আমাকে কি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে আমাকে কাদা মা’রা হচ্ছে?’ তিনি বলেন, ‘এ এলাকায় নিয়মিত বাঁধ ভাঙে, হাজারো মানুষের কষ্ট হয়। এলাকায় যাওয়ার পর মানুষ আমাকে বলে যে আপনার মতো ডা’য়নামি’ক লোক থাকতে কেন এখানে টে’কসই বাধ হচ্ছে না। আমি বলেছি এ জন্য সময় দিতে হবে।’
ভিডিওতে দেখা যায়, কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে মে’রাম’ত করছিলেন। উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় এমপি পৌঁছালে বি’ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা এমপির ট্রলার লক্ষ্য করে কাদা ও মাটির দলা ছুড়তে শুরু করেন।
কাদা ছো’ড়ার পর ট্রলার ঘুরিয়ে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে এম বলেন, ‘আমি ট্রলার থেকে না নামলে বক্তৃতা দিলাম কীভাবে? তাদের সঙ্গে আমি খাওয়া দাওয়া করেছি। সেখানে ৫-৭ হাজার মানুষ ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকেই সেখানে ছিল। কাদা ছোঁ’ড়াছু’ড়ির কিছু হয়নি।’
এমপি আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আসলে এলাকার লোকজন কাদা মেখে ছিল। কারণ ওই এলাকায় কাদা ছাড়া আর কিছু নেই। চারিদিকে শুধু পেরি কাদা। তারা চেয়েছিল আমি কাদা মাখি। এতে তারা খুশি হয়। সে কারণে আমার গায়ে কাদা। তারা যে আমার গায়ে কাদা ছু’ড়েছে, সে কারণে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এলাকায় বেশি বেশি যাই, এতে আমার জনপ্রিয়তা দেখে ঈ’র্ষান্বি’ত হয়ে প্রতিপক্ষ এরকম কথাবার্তা ছড়াচ্ছে।’