আমরা বিচারও পামু না, তাই কাহুর কাছে বিচারও চাই না

ইমান২৪.কম: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নাজমুল হাসান সোহেল রানা (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সোহেল রানা উপজেলার পৌর সদরের পুকুর পাড় মহল্লার আসাব আলীর ছেলে।

নিহত সোহেল রানার মা রুমি বেগম (৬০) অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী নাজমুল, হ্নদয় আর রানা মিলে আমার ব্যাটাকে মাইর‌্যা ফালাইছে, আমার ব্যাটা কি এমন কইছিলো যার লাইগ্যা মাইর‌্যা ফালান লাগবে। আমি গরিব মানুষ কার কাছে বিচার চামু। পুলিশকে ডাকছি এহুনো আইছে নাই। ওরা মেলা টেহা আলা তাই পুলিশ আইছে না।’

নিহতের ভাতিজা শানিম সাংবাদিকদের বলেন, যান যান নেতা ডাকে এ বিচার আমরা পাবো না। কে বিচার করবে তাদের এ দেশে। আমরা বিচারও পামু না, তাই কাহুর কাছে বিচারও চাই না।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রবিবার সন্ধায় সোহেল রানা বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের মার্কেটে গেলে শাহজাদপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হাসান, হৃদয় খান এবং রানা মিলে বেধড়ক মারপিট করে। আহত সোহেল রানাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সোমবার দুপুরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় পিপিডি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, কাউন্সিলর নাজমুল হাসানের ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ভয়ে অভিযোগ করতে পারছেন না নিহত সোহেলের পরিবার। অপরদিকে প্রশাসনকে অবহিত না করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করে এই প্রভাবশালী মহল। তবে কি কারণে এই হত্যা হয়েছে তা কেউ সুস্পষ্টভাবে বলতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদ মাহমুদ খান জানান, পুলিশ কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র ফোর্স পাঠিয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। কি কারণে এই মৃত্য হয়েছে তা তদন্তের পরে জানা যাবে।

ফেসবুকে লাইক দিন