সন্ধ্যা নামলেই ভয়ংকর রূপ নেয় কুকুরটি, কামড় দিয়ে উধাও

ইমান২৪কম: আট-দশটি নয়, মাত্র একটি কুকুরের ভয়ে সন্ধ্যার পর কেউ বাড়ির বাইরে কিংবা ঢুকতে পারছেন না। সন্ধ্যা নামলেই ভয়ংকর রূপ নেয় কুকুরটি। কোনো ধরনের আওয়াজ না করেই লোকজনকে কামড় দিয়ে উধাও হয়ে যায়। এমনই একটি কুকুর আতঙ্কে দিন কাটছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাটশিরা পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দাদের।

কালো রঙের এ কুকুরের কামড়ে গত এক মাসে বৃদ্ধ, শিশু, পথচারীসহ ১০০ জন আহত হয়েছেন। সম্প্রতি রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে ট্রাক রেখে বাড়িতে ঢুকছিলেন ট্রাকচালক দুলাল মিয়া। এ সময় কুকুরটি কোনো ধরনের আওয়াজ না করে দৌড়ে এসে তার ডান পায়ে কামড়ে দেয়। পরদিন সন্ধ্যায় একই রাস্তায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে কামড় দেয় ওই কুকুর।

জানা গেছে, বছর তিনেক আগেও একটি কুকুর এভাবে মানুষকে কামড়িয়েছিল। গ্রামবাসী সেই কুকুরটি মেরে ফেলে। সম্প্রতি আরো একটি বেওয়ারিশ কুকুর প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে কামড়াচ্ছে। হাটশিরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহজামাল জানান, কুকুরটি সন্ধ্যার পর থেকে নয়টার মধ্যেই মানুষকে বেশি আক্রমণ করে। বিশেষ করে নামাজে যাওয়ার সময়।

কিছুদিন আগে তাকে মেরে ফেলার জন্য লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু কুকুরটি পালিয়ে যায়। একই গ্রামের যুবক সোনার উদ্দিন বলেন, কুকুরটি আমাকে দুবার কামড়িয়েছে। এরপর সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়েছি। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম।

হঠাৎ কোথা থেকে দৌড়ে এসে আমাকে পেছন থেকে আক্রমণ করে কুকুরটি। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডান পায়ে দাঁত বসিয়ে চলে যায়। মুদি দোকানি আব্দুস সালাম বলেন, গত এক মাসে ওই কুকুরটি আমাকেসহ কমপক্ষে ১০০ জনকে কামড়িয়েছে। তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি।

চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে দিয়ে কুকুরটিকে মেরে ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, কুকুরটির অবস্থান নিশ্চিত করে মেরে ফেলা হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের সহযোগিতা প্রয়োজন।

ফেসবুকে লাইক দিন