ভাসানচর থেকে দলে দলে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, পুলিশ যা বলছে

ইমান২৪.কম: গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার জনকে ইতিমধ্যে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে পুনর্বাসন করেছে সরকার। কিন্তু সেখানে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা পালানো শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এরই মধ্যে পুলিশের হাতে বেশ কয়েকজন ধরা পড়েছে, আবার অনেকে কক্সাবাজার ক্যাম্পে পৌঁছে গেছে। তবে ভাসানচর থেকে কত রোহিঙ্গা পালিয়েছে এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। খবর বিবিসির। নোয়াখালীর ভাসানচরে বর্তমানে সেখানে ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

কক্সবাজারের তুলনায় উন্নত বাসস্থান আর সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে। তা সত্ত্বেও ভাসানচর থেকে থেকে বেশ কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গারা দলে দলে কক্সবাজারে পালাতে শুরু করেছে। ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ধারণা, সেখান থেকে পালানো রোহিঙ্গার সংখ্যা কয়েকশ’র মতো।

গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ১৩ সদস্যের একটি দল ভাসানচর থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছে। পালিয়ে আসার রোহিঙ্গা নারীদের একজনের সঙ্গে কথা হয় বিবিসির। তিনি জানান, একেবারে শুরুতে যাদের ভাসানচরে নেয়া হয়েছিল, তিনি তাদের একজন। ভাসানচর থেকে পালাতে বিপুল পরিমাণ টাকাও খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি।

বলেন, ‘আমাদের সাথে আমরা ১৩ জন ছিলাম। বোটওলা ধরে আসছিলাম নোয়াখালীতে। আমরা তিনজন একসাথে ৯০ হাজার টাকা দিছি।’ ভাসানচর দ্বীপে উন্নত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও কেন পালিয়ে গেলেন – সেই প্রশ্নে ওই রোহিঙ্গা নারী জানান, পরিবার ছাড়া সেখানে থাকাটা তার ভাষায় ভীষণ কষ্টের। ‘ভাসানচরে আমাদের অনেক সমস্যা। মা বাবা নাই।

আমরা একা ছিলাম। আমরা অনেক কষ্টে ছিলাম সেখানে। খাওয়া দাওয়ার কষ্ট ছিল।’ তিনি বলেন, ‘সিঙ্গেল সিঙ্গেল মেয়েরা অনেক সমস্যা। একলা একলা থাকা মেয়েদের হামলা করতে চায় ছেলেরা। অনেকের ঘরের মধ্যে তালা ভেঙে ঢুকে কাপড়-চোপড় অনেক নিয়ে গেছে।’

ফেসবুকে লাইক দিন