মদ্যপান নারীদের হারাম, পুরুষদের কি বৈধ: এমপি হারুনের প্রশ্ন

ইমান২৪.কম: চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ নারীদের কর্মসংস্থান বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে কিংবা কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, আজকে আমাদের কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এখন একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের নারীরা কতটুকু নিরাপদ? তারা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও আসার পথে যে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন, নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর বার্তা দিতে হবে।

আজ বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদ ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র-২০২১’ বিল পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। দেশে আমরা সবাই মুখে মুখে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলছি।

কিন্তু বাস্তবে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ক্লাবে পুরুষরা গেলে তা সহজেই মেনে নিচ্ছি কিন্তু একজন নারী গেলে খুব সহজেই তাকে খারাপ মেয়ে বলে দিতে পারি। সংসদ সদস্য হারুন প্রশ্ন রেখে বলেন, বলা হচ্ছে নারীদের ক্লাবে যাওয়া খারাপ। পুরুষদের জন্য খারাপ না? মদ্যপান নারীদের হারাম, পুরুষদের কি বৈধ?

হারুন বলেন, দেশের ভেতর নারীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না, সেখানে বিদেশে নারী শ্রমিকদের অবস্থা ভয়াবহ ও বীভৎস। দেশের বাইরে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করা যায় না? ইসলামিক আইনে নারীরা বাইরে গেলে মাহরুম লাগে। সেখানে নারীদের পাঠিয়ে দিচ্ছি অন্য দেশে।

নারী পাচারকারীরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের দেশের নারীদের বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। পাঠিয়ে দেওয়ার পর তাদের আর দায়-দায়িত্ব নেই। বিষয়টি নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় খুবই গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার অনুরোধ জানান সাংসদ হারুনুর রশীদ।

বিএনপির এ সংসদ সদস্য বলেন, নারীরা কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি কড়া মেসেজ দিতে না পারে, আইনের সঠিক প্রয়োগ যদি না হয়, তাহলে কিন্তু সব ভেস্তে যাবে।

চিত্রনায়িকা পরীমনি ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হারুনুর রশীদ আরও বলেন, বোট ক্লাবটির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্লাবটির সভাপতি আমাদের পুলিশ প্রধান। ক্লাবটি তুরাগ নদীর পার দখল করে গড়ে উঠেছে কিনা তা দেখতে হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন