নিজের রিভলবার দিয়েই স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন
ইমান২৪.কম: কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেনকে আটক করেছে পুলিশ। নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়েই এই হত্যাকাণ্ড ঘটান এএসআই সৌমেন। ঘটনার সময় ১১টি গুলি করেন তিনি। রোববার (১৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শাকিল (২৮), আসমা (২৫) এবং রবিন (৫)। তাদের মধ্যে শাকিল বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার পদে (ডিএসও) চাকরি করতেন। শাকিল কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে।
নিহত আসমার বাড়ি কুমারখালী উপজেলায়। আসমা খাতুন এএসআই সৌমেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। এবং রবিন আসমা খাতুনের আগের পক্ষের সন্তান।
আটক সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন।
শাকিলের সহকর্মী জাফর বলেন, শাকিলের বাড়ি ও আমার বাড়ি কুমারখালীর সাওতা গ্রামে। সকালে অফিস থেকে বের হয়ে আমরা মার্কেটে যাই। তারপর জানতে পারি শাকিল খুন হয়েছে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে শাকিল, আসমা এবং রবিনকে গুলি করে সৌমেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিল ও রবিন মারা যান। এবং ঘটনাস্থলে মারা যান আসমা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযুক্ত সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করেন। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাকিলের সঙ্গে আসমার অনৈতিক সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় সৌমেন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, আসমাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।