পাশের ফ্ল্যাটের তরুণকে বিয়ে করতে সন্তানকে হত্যা করেন মা
ইমান২৪.কম: স্বামীর সঙ্গে ঢাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন জান্নাতা আক্তার। সেই সুবাদে পাশের ফ্ল্যাটের এক তরুণের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয় তাদের। তাই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে নতুন ঘর বাঁধতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
তবে পথের কাঁটা ছিল ছয় বছর বয়সী সন্তান। শেষমেশ তাকেও নিজ হাতে হত্যা করেন পাষণ্ড মা। সোমবার ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিজ সন্তান আমির হামজা আরাফ হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জান্নাতা আক্তার। এর আগে, ৩ জুন সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেওগাঁও চেড়াডাঙ্গী গ্রামে আরাফকে নিজ হাতে হত্যা করেন জান্নাতা।
জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, ৩ জুন দুপুরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আরাফ আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পায় পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। সেই সঙ্গে লাশটি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরো জানান, আরাফ হত্যায় স্ত্রী জান্নাতা আক্তারের কাছে বিভিন্নভাবে জানতে স্বামী খলিলুর রহমানকে পরামর্শ দেয়া হয়। এ সময় জান্নাতার কথা খলিলুরের সন্দেহ হয়।
তিনি বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান। পরে জান্নাতা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় হাজির করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত টিম।
একপর্যায়ে আরাফের হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন জান্নাতা। জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতা জানান, স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকার সময় পাশের ফ্লাটের ইমরান নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। দুই মাস আগে সন্তানসহ তাকে ঠাকুরগাঁওয়ের দেওগাঁও চেড়াডাঙ্গী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে রেখে যান খলিলুর। শ্বশুরবাড়িতে এলেও মোবাইলে বিভিন্নভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন পরকীয়া প্রেমিক ইমরান। এসব বিষয় নিয়ে তিনি মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। এ কারণেই আরাফকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।