হাইকোর্টের নতুন রায়ঃ প্রার্থী হতে পারবে দণ্ডিত ব্যক্তিও!
ইমান২৪ ডেস্ক: দুই বছরের বেশি দণ্ড ও সাজা হলে আপিল করেও কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মর্মে হাইকোর্টের রায়ের পর আজ একই বিষয়ে নতুন রায় দিলো হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। নতুন রায় অনুযায়ী সাজা স্থগিত হলে ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার তিন বছরের সাজা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কোনো আইনগত বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এম আমিনুল ইসলাম। এ প্রার্থীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আদেশটি দেন।
অথচ দু’দিন আগে এক আদেশে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বলেছেন, দুই বছরের বেশি দণ্ড ও সাজা হলে আপিল করেও কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির পাঁচ নেতার দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত মঙ্গলবার ওই পর্যবেক্ষণ দেন।
ফলে একই ধরনের মামলায় ভিন্ন আদেশ দেওয়ায় দণ্ডিত অন্যদের ক্ষেত্রে কী ঘটবে এখন সেই প্রশ্ন নতুন করে সামনে এলো। অবশ্য দণ্ডিত ব্যক্তি দণ্ড বা সাজা স্থগিত করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের বৃহস্পতিবার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
আরো পড়ুন>> ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এক স্থানে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারবেন না। পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং অফিসাররা পর্যবেক্ষকদের সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না।
এছাড়া ভোটের দিন ভোট কক্ষের ভেতর ভিডিও বা স্থির চিত্র ধারণ করা অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. কামরুল হাসান।
কামরুল হাসান বলেন, ভোট কক্ষে একজন ভোটার প্রবেশ করার পর প্রথমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। ভোটারের নাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় থাকলে ব্যালট পেপারের মুড়িতে তার আঙুলের ছাপ রেখে ভোটারকে ব্যালট পেপার সরবারহ করতে হবে। এরপর ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাসহ অন্য কারোই প্রবেশ অধিকার থাকবে না। কেবল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারকে সহায়তার জন্য ভোটার তার পছন্দের একজনকে সঙ্গে রাখতে পারবেন।
আ/র/ইমান২৪