সরকার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে : রুহুল কবীর রিজভী

ইমান২৪.কম: দলের এক মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু বকর আবুর লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে পাওয়ার ঘটনায় সরকারকে দায়ী করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের চেয়ারম্যান আবু বকর আবু দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য ঢাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন।

গত রোববার তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যাবার পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ বুড়িগঙ্গা নদীতে তার লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘এলাকার একজন জনপ্রিয় নেতা ও জনপ্রতিনিধি আবু বকর আবুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর লাশ বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে এভাবেই একজন আন্দোলনকারীর লাশ ভেসে উঠেছিল বুড়িগঙ্গায়। সরকার এখন আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। যশোর জেলা বিএনপির নেতা ও চারবারের একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিকে হোটেল থেকে তুলে নেওয়া হলো, আর গায়েব করে হত্যা করার মাধ্যমে তার লাশ বুড়িগঙ্গায় ফেলা দেওয়া হলো।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এজেন্সির মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। গোটা দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। দেশব্যপী প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে, হত্যা করে লাশ নদী, খাল-বিল কিংবা রাস্তার ধারে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আমি আবু বকর আবুর হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।

অবিলম্বে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।’ সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, ‘শাহবাগ থানাধীন ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মেডিকেল ইউনিট বিএনপির সভাপতি মো. আজিমকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করে নিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত স্বীকার করছে না।

সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিলেও তার সন্ধান মেলেনি। রিজভী বলেন, ‘আমি অবিলম্বে মো. আজিমকে জনসমক্ষে হাজির করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন: 

ইন্টারনেট ও স্কাইপ বন্ধ করেও ঠেকানো গেল না তারেক রহমানকে

ফেসবুকে লাইক দিন