সংলাপের পর গ্রেফতারের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে : রিজভী
ইমান২৪.কম: সংলাপের পর গ্রেফতারের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গতকাল সংলাপ শেষ হওয়ার পরই টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ ইথেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে পুলিশি শক্তির ব্যবহার ছাড়া আওয়ামী জোট সরকারের আর কোনো ভিত্তি নেই। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।প্রধানমন্ত্রী কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপের ভাষণে রাজনৈতিক মামলায় কারা আছেন তাদের তালিকা চেয়েছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন।
দশ বছরের শাসনামলে বিরোধী দলের কাদের নামে মামলা দিয়ে বারবার কারাগারে ঢোকানো হচ্ছে সেটি কী প্রধানমন্ত্রীর অজানা ? গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারী জোটের সংলাপে সরকারের একগুঁয়েমী মনোভাব গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় ধরণের অশনিসংকেত। সংলাপে মানুষের মনে যে আশাবাদ জেগে উঠেছিল, সংলাপ শেষে সেই আশার মুকুল ঝরে যেতে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ৭ দফা দাবির প্রতি সাড়া না দেয়ায় আওয়ামী অনঢ়তায় সুষ্ঠু নির্বাচনের অগ্রগতি তিমিরাচ্ছন্ন হলো।
আওয়ামী লীগ সহিষ্ণুতার শিক্ষা কখনোই গ্রহণ করেনি। ক্ষমতা-স্বার্থের লীলাধিপত্য বজায় রাখতে তারা জনগণকেই ভয় পাচ্ছে। জনগণের মুন্ডুপাতই হচ্ছে তাদের গ্রহণযোগ্য নীতি। বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, দেশের মানুষ প্রশ্ন করে, ১/১১ এর সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলাগুলো গায়েব হলো কী করে ? ওয়েষ্টমন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ফারুকের করা চাঁদাবাজির মামলাসহ ১৫টি মামলা উধাও হলো কী করে ?
দেশব্যাপী সাড়ে সাত হাজার আওয়ামী নেতাকর্মীদের নামে খুনের মামলাসহ অন্যান্য মামলা ভোজবাজির মতো হাওয়াই মিলিয়ে গেলো কী করে ? তিনি আরো বলেন, ঐ সময়ে দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে একই ধরণের মামলায় জড়ানো হয়েছিল, অথচ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর শেখ হাসিনার মামলা প্রত্যাহার হয়ে গেল আর বেগম জিয়ার মামলা এখনও চলমান। অর্থাৎ বুঝতে কী কারো বাকি আছে যে, রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন ক্ষমতাসীনরা কত প্রবল প্রতাপশালী যে তাদেরকে কোন আইনই স্পর্শ করতে পারে না। উৎসঃ আমাদের সময়
আরও পড়ুন: বিএনপির সভা-সমাবেশ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে : নৌপরিবহন মন্ত্রী