ভারতের হিন্দুত্ববাদী আদর্শের ফল হচ্ছে সীমান্ত সংঘাত: চীনকে সমর্থন দিল পাকিস্তান
ইমান২৪.কম: সীমান্ত সংঘাতে চীনকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ভারতের হঠকারিতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিতর্কিত জম্মু ও কাশ্মিরের লাদাখে চীনা সেনাদের সাথে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। ১৯৭৫ সালের পর থেকে দুটি সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে এটিই প্রথম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এক বিবৃতিতে বলেন, চীন আন্তরিকভাবে ও আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত ইস্যুটি সমাধান করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। তবে ভারত এটিকে একই মনোভাবের সাথে গ্রহণ করেনি।
যার ফলে এ অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যায়। এই সংঘর্ষের ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা শুরু হয়েছে। মোদি ইতোমধ্যে প্রতিবেশী নেপালের সাথে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনা ও বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাংলাদেশের অসন্তোষের শিকার।
কোরেশি বলেন, এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কয়েক দশকের মধ্যে একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। এটি স্পষ্টতই ভারতের হিন্দুত্ববাদী আদর্শের ফলাফল। ভারতের সাথে সীমান্ত বিরোধের বিষয়ে বেইজিংয়ের ‘নীতিগত’ অবস্থানকে সমর্থন করে তিনি বলেন, লাদাখ ও তিব্বতের ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত একটি বিবদমান অঞ্চল।
ভারত যদি মনে করে তারা এই অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাবে, তাহলে সম্ভবত চীন কখনোই সেটা মেনে নেবে না। দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে।
যখন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূখণ্ড নিজেদের দাবি করেছে চীন, তখন লাদাখ অঞ্চলের কিছু অংশসহ হিমালয়ের আকসাই চীন মালভূমি বেইজিংয়ের দখলে বলে অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি।
গত আগস্টে বিতর্কিত জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার কয়েক দশকের বিশেষ মর্যাদা ভারতের কেড়ে নেয়ার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নয়াদিল্লির এসব বিতর্কিত পদক্ষেপ চীন ও পাকিস্তান প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে ভারত এসব বিষয়ে মধ্যপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি দেখানোর পরিবর্তে চরমপন্থার নীতিতে জোর দিচ্ছে।