লাব্বাইক লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফাত ময়দান
ইমান২৪.কম: লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।
এ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান হাজী আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। এবার বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমানের হজ পালনের চিরায়ত দৃশ্য দেখা যাবে না।
মহামারী করোনার কারণে সীমিত করা হয়েছে এবারের হজের অংশগ্রহণ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে কাবা শরিফ তাওয়াফ করে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে রওনা হন আল্লাহর মেহমানরা।
পবিত্র মক্কা হতে মিনা পর্যন্ত যেখানে প্রতি বছর ২৫ লক্ষাধিক মুসলিমের পদচারণা থাকত, এবার যাচ্ছেন মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার মুসল্লি। তবুও আকাশ-বাতাস মন্দ্রিত করে ধ্বনিত হচ্ছে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…।’
পবিত্র মিনার খিমায় (তাঁবু) তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাটাতে হবে। বুধবার তারা মিনায় সারা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন। আজ ফজরের নামাজ শেষে তারা মিনা থেকে যাবেন আরাফাতের ময়দানে। সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন তারা।
সেখানে অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা পাঠ করা হবে। এবার খুতবা দেবেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত খতিব শায়খ আবদুল্লাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়া। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরাফাতের ময়দানে হাজীদের অবস্থানের দৃশ্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
খুতবা বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনূদিত হবে। খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন।
রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। এবার বিশ্বের কোনো দেশ থেকেই কেউ হজে যাওয়ার সুযোগ পাননি। তবে সৌদিতে অবস্থানরত হাতেগোনা কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি এ বিরল সুযোগ পেয়েছেন।