রাজপথে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই: নজরুল

ইমান২৪.কম: আলোচনা ও সংলাপে সরকারের আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে না, এ ক্ষেত্রে গণআন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় দেখছেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, সরকারের আত্মরক্ষার জেদের কারণে পরিস্থিতির কাক্ষি্ঙ কোনো পরিবর্তন তিনি দেখতে পারছেন না। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির এক সংহতি সমাবেশে নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশ এখন অস্বাভাবিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যে গণতন্ত্র, সুশাসন ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্বপ্ন বারবার ধূলিস্যাৎ করে। বারবার ক্ষমতাসীনেরা ও তাদের প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টি গণতন্ত্র হরণ করেছে। আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সেই গণতন্ত্র লড়াইয়ের আন্দোলনে নেমেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই প্রথম গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তারা বলে সংবিধানের বাইরে চলা যাবে না। সংসদ বিলুপ্ত করে তফসিল ঘোষণা করার কথা সংবিধানেই বলা আছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে আসেন। এটা সংবিধানের বাইরের কিছু না। ইভিএমের কথা সংবিধানের কোথায় লেখা আছে? সেনাবাহিনী নিয়োগে বাধা সংবিধানের কোথায় বাধা দেওয়া হয়েছে?’ তিনি বলেন, ‘এই গণতন্ত্রহীনতার যে সংস্কৃতি তা অতিক্রম করতে রাজপথে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’

সেনাবাহিনীকে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে রাখার বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তারা বলে, সেনাবাহিনী শহরে কোনো একটা স্টেডিয়াম বা মাঠে ভোটের সময় তাঁবু গেড়ে বসে থাকবে। রিটার্নিং অফিসাররা চাইলে তারা গিয়ে নির্বাচনী কাজে সহযোগিতা করবে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের অনুগত হন, তারা কেন বলবে? সেনাবাহিনী তাঁবুতে থাকবে, আর এই সুযোগে তাঁদের গুন্ডাপান্ডা আর পুলিশ দিয়ে সিল মারবে, এর নাম স্ট্রাইকিং ফোর্স। বরং সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের প্রত্যক্ষ কাজে অংশ নিতে দিলেই জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসতে পারবে। এতে করে সরকারের জেতার কোনো সম্ভাবনা নাই।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকেরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। সরকার কী সেটাই চায়? তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা জানতেই পারলেন না। আজ হোক কাল হোক, সরকারের প্রত্যেকটা কাজের হিসাব জনগণের কাছে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই নেতা।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, অর্থ সম্পাদক আল আমিন, লেবার পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র মিশনের যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন: ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাব নাকচ করে দিল আওয়ামী লীগ

৮০ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে আওয়ামী লীগ

যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদেরকেই জেলে যেতে হবে : অ্যাডভোকেট সারওয়ার

ছোটলোক বলার জবাবে মান্নাকে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী !

জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীকে বের করে দিল শিক্ষকরা

ফেসবুকে লাইক দিন