যে কারণে আল্লামা শফীর জন্য স্বাধীনতা পদক দাবি করলেন ফরীদ ঊদ্দীন মাসঊদ

ইমান২৪.কম: হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন মওলানা ফরীদ ঊদ্দীন মাসঊদ।

‘কওমির খেদমত করা এবং সমস্ত ওলামায়ে কেরামকে আহমদ শফী একত্রিত করার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে’ তাকে এ পদক দেয়ার আহ্বান জানান ফরীদ ঊদ্দীন মাসঊদ।

রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমান করায় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানাতে আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’র আয়োজন করে ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’। সেখানে এই দাবি জানানো হয়।

‘জাতীয় দ্বীনী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান’ মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘আজ শুধু কওমি মাদ্রাসা শুধু নয়, সারাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।’

তিনি বলেন, ‘‘আমার ভাই (মুফতি রুহুল আমীন) আপনাকে কওমি জননী বলেছেন। সেই মায়ের দরদ দিয়ে এ দেশের গ্রামাঞ্চলে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন আছেন যারা ৭০০-৮০০ টাকা বেতন পান। ভারত-মিসরসহ অনেক দেশে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়া হয়। আমরা হিসাব করে দেখেছি, যদি ইমামদের ৫ হাজার ও মুয়াজ্জিনদের ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়, তবে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটির বেশি টাকা লাগবে না।

প্রধানমন্ত্রী আপনার দিল আল্লাহ বড় দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আপনি আশ্রয় দেয়ার সময় বলেছিলেন যেখানে ১৮ কোটি মানুষ খেতে পারে সেখানে আট লাখ মানুষ কী খেতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী ইমামরাও কওমী মাদ্রাসার তাদের একটি ভাতার ব্যবস্থা আপনি করবেন।’’

আরেকটি দাবি হচ্ছে, ‘বাংলাদেশের কোনও আলেমকে আজ পর্যন্ত স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। আহমদ শফী কওমির খেদমত করেছেন, সমস্ত ওলামা একরামকে একত্রিত করে ইসলামের লোকদেরকে একত্রিত করে যে সেবা করেছেন। আমি মনে করি উনি স্বাধীনতা পদক পেতে পারেন। আশা করছি এ বছর স্বাধীনতা পদক প্রদানের সময় এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’

সম্প্রতি সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের স্বীকৃতি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর বেফাক কার্যালয়ে শুকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা ঘোষণা দেন হাইয়াতুল উলিয়ার নেতারা।

সেই ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের কওমিপন্থী ৬টি বোর্ড নিয়ে গঠিত আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশের (হাইয়াতুল উলিয়া) শুকরিয়া মাহফিল হয় রোববার। মাহফিলে বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।

আরও পড়ুন: উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ইসি-ঐক্যফ্রন্ট বৈঠকে!

শেখ হাসিনার সরকারে নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই ঐক্যফ্রন্টের, তবে…

যেসব হেফাজত নেতা প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া সংবর্ধনায় আসেননি

জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীকে বের করে দিল শিক্ষকরা

শোকরানা মাহফিলের মোড়কে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড অস্বীকারের আয়োজন: বাবুনগরী

ফেসবুকে লাইক দিন