মানুষের মাংস খেতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা
ইমান২৪.কম: তার নেশা মানুষের মাংস খাওয়া। তবে কোনো জীবিত মানুষের নয়, সে খেত মৃত মানুষের আগুনে ঝলসানো মাংস। আর মাংস খাওয়ার জন্যই রাতবিরাতে শশ্মানে চলে যেত এই নরখাদক।
গত রোববার গভীর রাতে তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেছে কয়েকজন গ্রামবাসী। ইতিমধ্যে তারা ওই নরখাদককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
তার নাম এস মুরুগেসান, বয়স ৪৩ বছর। গ্রেপ্তারের পর তাকে মানসিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে।
পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
পত্রিকাটি জানায়, গত রোববার রাজ্যের টি রামানাথপুরাম গ্রামে ৭০ বছর বয়সী এক নারী মারা যান। ওইদিন রাতেই তার মরদেহ স্থানীয় এক শশ্মানে দাহ করা হয়।
রোববার দিনগত রাত দেড়টার দিকে শশ্মানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন লোক। এ সময় তারা দেখতে পান, এক লোক নিভে যাওয়া চিতার ছাইয়ের পাশে বসে ওই নারীর অর্ধপোড়া দেহের মাংস কেটে কেটে খাচ্ছে। এই দেখে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে নেশাগ্রস্ত মুরুগেসানকে আটক করে।
গ্রামের লোকজন পুলিশকে জানায়, মুরুগেসান ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এবং দিনমজুর হিসেবে কাজ করে। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা তাকে ছেড়ে গেছে। এরপর থেকে মুরুগেসান নেশা করে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়।
গ্রামবাসীরা আরো জানায়, তারা প্রায়ই শশ্মানে মানুষের হাড়গোড় পরে থাকতে দেখতো। এবার তারা নিশ্চিত, মুরুগেসানই মাংস খেয়ে ওগুলো ফেলে রাখতো।
তবে মুরুগেসান সত্যিই একজন নরখাদক কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন এ কথা জানার পর সোমবার তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থানার দেয়ালে আ.লীগ নেতার মাথা থেঁতলে দিল সন্ত্রাসীরা
জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করে জাপানি বিজ্ঞানীর বিস্ময়!
‘ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বৃদ্ধির পেছনে ধর্মহীন শিক্ষা ও অশ্লীল সংস্কৃতি দায়ী’
১ হাজার ৯২ দিন পর অবশেষে মুক্তি পেলেন নিরীহ জাহালম
শিশুদের দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, ভুয়া স্ত্রীসহ পুলিশের এসআই আটক
এখন থেকেপুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা যাবে সরাসরি, খোলা হয়েছে কমপ্লেইন সেল