মাদরাসা শিক্ষার্থীদের যে ছবি বহি:র্বিশ্বেও প্রশংসিত
ইমান২৪.কম: হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্রদের মন্দির পাহারার ছবি নিয়ে টুইট করেছেন আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট আলেম, লেখক, বক্তা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মুফতি ইয়াসির নাদীম।
আরবী উর্দূ ইংরেজি ভাষায় খ্যাতনামা বিভিন্ন বইয়ের লেখক এই আলেম গত ২৬ অক্টোবর এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দৃশ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মুফতি ইয়াসির নাদীম বলেন,
‘বাংলাদেশে মাদরাসার ছাত্ররা মানবন্ধন তৈরি করে পাহারা দিচ্ছেন মন্দির। এক অমুসলিম হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামকে কটূক্তি করে ব্লাসফেমির অপরাধ সংঘটিত করেছে, যার ফলে দেখা দিয়েছে দেশ জুড়ে অস্থিরতা।
এমতাবস্থায় মুসলমানরা এগিয়ে এসেছেন হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্যে।’ মুফতি ইয়াসির নাদীমের টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা বিশ হাজারের অধিক। তারা এই বার্তাটি প্রায় আড়াই শত মানুষ শেয়ার (রিটুইট) করেছেন।
জুসিমেলেইন নামের এক ফলোয়ার তার টুইটে মন্তব্য করেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভারওয়ার দাস গু’প্ত মন্তব্য করেছেন, মানবতার এসব পাহারাদারকে সশ্রদ্ধ সালাম।
ফারহাত জাহান নামে একজন মন্তুব্য করেছেন, এটাই মুসলমানদের আবেগ।… আমাদের ধর্ম আমাদেরকে এটা শেখায় না যে আমরা অন্যদের ক্ষতি করব। প্রসঙ্গত, ফেসবুকে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ায় ভোলার বোরহানউদ্দিনে সাধারণ তাওহীদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
এতে পুলিশ গু’িলি করে ৪জন নিরীহ নবীপ্রেমীকে শহীদ করে। পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডে সারাদেশে তাওহীদী জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এসময় হাটহাজারী মাদরাসার পাশে অবস্থিত মন্দিরের নিরাপত্তায় মাদরাসার ছাত্ররা মন্দির পাহারা দিয়েছেন।
জানা যায়, ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হাটহাজারী মাদরাসা। এই ১১৯ বছরের ইতিহাসে হিন্দু সম্প্রদায় ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ইতিহাস নেই।