মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মির্জা ফখরুল

ইমান২৪.কম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থীদের চিঠি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নের চিঠি বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেছে। আমরা দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে, ভোটের অধিকার ফেরত পাবে।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি এই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছে, এমন কথা বলে কাঁদতে থাকেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কথা বলা থামিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায় তাকে।

পরে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। খালেদাকে মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি দিয়েছিলাম। এসব দাবি নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি। সরকারের সঙ্গে সংলাপ করেছি, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে গিয়েছি। কিন্তু তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসি সম্পূর্ণ পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে কাজ করছে। বারবার বলেছি- যা কিছু করার তা করা প্রয়োজন। কিন্তু তারা করছে না।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, প্রশাসনেও রদবদলের প্রয়োজন। আমরা বললেও তা করা হয়নি। ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) বন্ধ রাখেনি। পত্র-পত্রিকায় সিইসির (প্রধান নির্বাচন কমিশনরা) ভাগ্নে শাহাজাদা সাজু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আমরা আগেও বলেছিলাম- তিনি (সিইসি) পক্ষপাত দুষ্ট। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

ফখরুল বলেন, এতকিছুর পরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি এর মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন সম্ভব এবং জনগণ তার অধিকার ফেরত পাবে।

আরও পড়ুন: প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পদ থেকে সরে যেতে বললেন ড. কামাল

বিশ্ব ইজতেমা নির্ধারিত তারিখে বহাল রাখার দাবিতে স্মারকলিপি

সংসদ বহাল রেখে কেন নির্বাচন, ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

পুলিশ ও প্রশাসনের ৯২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে ইসিকে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি

যারা লালন-নজরুল সঙ্গীত শোনে এবং রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে তারা কখনো জঙ্গী হয়না: মনিরুল ইসলাম

গণফোরামে যোগ দিচ্ছেন আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার এবং একুশে টিভির সাবেক চেয়ারম্যানসহ আরো অনেকে

ফেসবুকে লাইক দিন