ব্রেকিং নিউজ: অবস্থার উন্নতি, চোখ খুলেছেন আল্লামা আহমদ শফী
ইমান২৪.কম: আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আইসিইউতে তিনি (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আজ সকাল থেকে চোখ খুলে তাকাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক, আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, বাবার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বার্ধক্যজনিত নানান অসুস্থতায় তার পালস কমে গিয়েছিলো। এখন পালস স্বাভাবিক।
তিনি সবার দোয়া প্রার্থী। তিনি জানান, রোববার বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে ৭ সদস্যর মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বাবা চোখ খুলে তাকাচ্ছেন।
আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। এখনও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন। রোববার রাত সোয়া ৮টায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে ভর্তি করানো হয় আল্লামা আহমদ শফীকে।
রোববার সন্ধ্যায় তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮৬ এর নিচে নেমে আসে। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, তবে সোমবার সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট কমে আসে। চমেক হাসপাতালের আইসিইউর সহযোগী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আল্লামা শফীর জ্ঞান ফিরে আসে।
জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রথমে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য দোয়া করেন। তাদেরকেও তিনি তার জন্য দোয়া করতে বলেন। সোমবার দুপুর ১২টায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান রঞ্জন কুমার নাথ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান সুজত পালের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে।
বোর্ডের পরামর্শে আল্লামা শফীর বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু তাতে খারাপ কিছু আসেনি। জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০৩ বছর বয়সী আল্লামা শফী ৮ ধরনের রোগে ভুগছেন। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে আল্লামা আহমদ শফী- বমি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা সমস্যায় নিয়ে গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়।
ঢাকায় এনে গত ১৪ এপ্রিল আল্লামা আহমদ শফীকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থেকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২২ এপ্রিল রোববার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তাকে। দীর্ঘ ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে ওিইদিন হেলিকপ্টারযোগে তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছেন।