ভালোবাসো মোর ‘ভোট’, আমায় নহে গো!

ইমান২৪.কম: নির্বাচনে তরুণদের গুরুত্ব থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে তাঁদের প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতির বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয় না। তরুণদের সবচেয়ে বড় আগ্রহের জায়গা হচ্ছে কর্মসংস্থান। কিন্তু সেখানেই যত গলদ। একদিকে কর্মসংস্থানের অভাব, অন্যদিকে ফাঁকা পদগুলো পড়ে থাকে বছরের পর বছর।

এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাত ব্যবহার করে কিংবা নতুন নতুন ব্যবসার উদ্যোগ নিতেও বাধার সম্মুখীন হন তরুণেরা। এর ফলে ভোটের সময় তরুণদের মন জোগাতে রাজনৈতিক দলগুলো যতটা ব্যস্ত থাকে, ভোট শেষে তরুণদের প্রতি সেই ভালোবাসা, তাঁদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রাখতে ততটাই উদাসীন থাকে ক্ষমতাসীন দলগুলো।

বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলগুলোর নির্বাচনের ইশতেহারে যথাযথ কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ করলেও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান হয়নি তরুণদের। যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সরকারি চাকরিতে এখনো প্রায় তিন লাখ পদ খালি আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হলেও ব্যান্ডউইথড ইন্টারনেটে বড় বড় শহরেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।

মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের যথেষ্ট উদ্যোগ নেই। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের আগ্রহ বাড়লেও এ জন্য আগের ইশতেহারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। সব মিলে নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণেরা উপেক্ষিত। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবারের হালনাগাদ শেষে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৩ লাখের বেশি।

সব মিলিয়ে এবার ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখের বেশি। এই ভোটারদের প্রায় আড়াই কোটি তরুণ। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিলেন ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭ জন। ২০০৮ সালে ছিলেন ৮ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার।

অর্থাৎ গত ১০ বছরে তরুণ ভোটার বেড়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ। আগামী নির্বাচনে এরাই জয়-পরাজয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। তরুণদের ভোট যাঁরা বেশি পাবেন, তাঁরা নির্বাচনে জয়ী হবেন।

আরও পড়ুন: 

ফেসবুকে লাইক দিন