স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে গণধর্ষণ: ছাত্রলীগের যাদের খুঁজছে পুলিশ

ইমান২৪.কম: সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তার সুন্দরী স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ নেতার নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নির্যাতিত ওই নারীর স্বামী মাইদুল ইসরাম বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা সাইফুর, শাহ রনি, অর্জুন, মাহফুজ, রবিউল ও তারেক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসামিরা সবাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী। এদিকে আসামিদের ধরতে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আসামি সাইফুরের বাসা থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আসামিদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তার সুন্দরী স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রাবাস থেকে ওই স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করেছে শাহপরান থানা পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী।

এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তরুণীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। তাতে বাধা দিলে তরুণীর স্বামীকে মারধর করা হয়।

সেখানে একটি রুমে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। ওই ভুক্তভোগী দম্পতির সাথে থাকা ৯০-টি মডেলের একটি গাড়িও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় এমসি কলেজের হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন ও কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি।

ফেসবুকে লাইক দিন