বর্তমানে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি ইয়েমেন

ইমান২৪.কম: যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ আর অপুষ্টির প্রতীক হয়ে উঠেছিল। আমাল হুসেন নামে ৭ বছরের সেই শিশুকন্যা শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেল। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) আসলাম শহরে এক শরণার্থী শিবিরে আমাল মারা যায়। না-খেতে-পাওয়া, কঙ্কালসার চেহারার সাত বছরের আমাল হুসেন যুদ্ধদীর্ণ ইয়েমেনের মুখ হয়ে উঠেছিল। গত সপ্তাহে ভাইরাল হয়েছিল তার ছবি। ইয়েমেন অন্তত ১৮ লক্ষ শিশু আমালের মতো অপুষ্টিতে ভুগছে।

আমালের মৃত্যুতে ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সরাসরি আঙুল উঠছে সৌদির দিকেই। ইয়েমেনের এই দুরবস্থা আসলে সৌদির সঙ্গে ইরানের যুদ্ধের ফল। ইরান সমর্থিত হুথিদের ইয়েমেন থেকে হটাতে ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে সৌদি। আর তাতে সামরিক সাহায্যদাতা এবং যুদ্ধের অস্ত্র সরবরাহকারী সৌদি আরবের সহযোগী আমেরিকা। সৌদি আরবের লাগাতার সামরিক হামলার জেরে ইয়েমেনে বন্ধ চাষ-আবাদ। ফলে খাদ্যসঙ্কট তৈরি হয়েছে। ইয়েমেনের উত্তরাংশের দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলে সৌদি সেনারা খাদ্য ও মানবিক সাহায্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।

ইউনিসেফ রিপোর্ট বলছে, ইয়েমেনের ১৮ লক্ষেরও বেশি শিশু ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার। বেসরকারি মতে সংখ্যাটি প্রায় ৫০ লক্ষ। গত দেড় বছরে প্রায় ৬০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেখানে। ইয়েমেনের ৮০ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষের শিকার।

আর কয়েক সপ্তাহ যুদ্ধ গড়ালে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে প্রায় দেড় কোটি, যা ওই দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। পৃথিবীর বৃহত্তম মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি যখন ইয়েমেন, তখন স্বনিযুক্ত সমাজপতি, বিশ্বের ইসলামী সংগঠনরা নীরব দর্শক কেন? মনে হয় দুর্ভিক্ষ শুধু ইয়েমেনেই নয়, দুর্ভিক্ষ চলছে পৃথিবী জুড়ে মনুষ্যত্বের, মানবিক চেতনার দুর্ভিক্ষ।

আরও পড়ুন: নিখোঁজের তিন দিন পর নদীতে যুবকের লাশ উদ্ধার

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে হেয় করছেন

ফেসবুকে লাইক দিন