নৌকা ছেরে যে সকল মাঝিদের হাতে ধানের শীষ

ইমান২৪.কম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার যারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করতে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই একসময়ের আওয়ামী লীগের তুখোড় ও দাপুটে নেতা। সোমবার (২৬ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে অনেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়নের চিঠি নিয়েছেন।

ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা হিসেবেই অধিক পরিচিত। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সবসময়ই সোচ্চার। ১৯৭০ সালের পাকিস্থানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ড. কামাল হোসেন জাতিসংঘের স্পেশাল রিপোর্টারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গণফোরাম নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এবার তার নেতৃত্বে ধানের শীষে নির্বাচন করবে গণফোরাম।

আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী এবং দলের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।

বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে পটুয়াখালী-৩ আসনে লড়বেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম মাওলা রনি।

আ.স.ম. আবদুর রব বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালে অন্যদের সঙ্গে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক বটতলায় শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেন। স্বাধীনতার পর আ. স. ম. রব নতুন দল জাসদ গঠন করেছিলেন। এবার তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।

গণফোরামের পক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে হবিগঞ্জ-১ আসনে লড়বেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া।

>>এখন দেশে কোনো জামায়াত নেই, যারা আছেন তারা এদেশের নাগরিক: কাদের সিদ্দিকী

ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এক সময়ের মাঠ কাঁপানো ছাত্র নেতা নৌকার হাল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন পাচ্ছেন তিনি।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময়ের প্রতাপশালী এই ছাত্রনেতা দায়িত্ব পালন করেছেন ডাকসুর ভিপি হিসেবে। ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন তিনি।

১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন মোস্তফা মহসীন মন্টু। এ ছাড়া পালন করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। এরপর তিনি যোগদেন ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম। ধানের শীষ প্রতীকে এবার ঢাকার যে কোনো একটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ছিলেন এস এম আকরাম। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে এস এম আকরাম ১৯৯৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।

এবার ঐক্যফ্রন্টে যাচ্ছেন আজিজুস সামাদ ডন। এমন খবর শোনা যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে। বাবার পথ ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তিনি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক ডন এবার দলীয় মনোনয়নে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।

আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিতে পদত্যাগের হিড়িক; কার্যালয়ে তালা!

এসপি-ডিসি সবকিছুই তাদের, সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হবে: পার্থ

নির্লজ্জ ইসি, তার চেয়েও নির্লজ্জ সিইসি : মাহমুদুর রহমান মান্না

চাকরির আশ্বাসে আ’লীগ এমপিকে দেয়া ঘুষের টাকা ফেরত নিতে রাস্তায় অবস্থান চাকরিপ্রার্থীদের

ভোট কক্ষে ভিডিও বা স্থির চিত্র ধারণ অপরাধ, পর্যবেক্ষকরা কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশ নিষেধ

এত কথা বলে কি লাভ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা দিন না, দেখেন কে কতটা আসনে জেতে: মির্জা ফখরুল

ফেসবুকে লাইক দিন