নূরুল হুদার পক্ষপাতমূলক ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে জামায়াতের বিবৃতি
ইমান২৪.কম: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার পক্ষপাতমূলক ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। দলটির সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকার উপর।’ তিনি আরো বলেন, ‘গোটা দেশবাসীর সাথে আমরাও গভীর বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাদের ভূমিকা একান্তই পক্ষপাতমূলক এবং গণতান্ত্রিক আচরণের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’ সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আর কোন গায়েবি মামলা দায়ের করা হবে না।
২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব একেএম নূরুল হুদা খোলামেলা দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন, ‘পুলিশ আমাদের কথা মানছে। আমাদের কথার বাইরে বিনা কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করে না, করছেনা। পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে’। তার এ বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেখানে নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই পরিবেশ বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ এবং গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়, তাহলে এর পুরো দায়ভার তাদের উপরেই বর্তাবে। অতএব, হয়রানী, নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক কর্মকা- সম্পূর্ণরূপে পরিহার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আরেকবার আহ্বান জানাচ্ছি।” এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঝিনাইদহ জেলা শাখা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবুবকরকে সোমবার সকালে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যেই ঝিনাইদহ জেলা শাখা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবুবকরকে অন্যায়ভাবে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ‘সরকার ভোট ডাকাতির একতরফা প্রহসনের পাতানো নির্বাচনের নাটক করার হীন উদ্দেশ্যেই সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে পুলিশ দিয়ে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো গায়েবী মামলা দিয়ে তাদের জেলে পাঠাচ্ছে।’
‘একতরফাভাবে ভোট ডাকাতির পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই সরকার ঝিনাইদহ জেলা শাখা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবুকরকেসহ সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এ থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কোন ধরনের আন্তরিকতা নেই।’ ‘তারা নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্র করছে।
এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবন্ধ গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ ‘সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করে ঝিনাইদহ জেলা শাখা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবুকরসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ড. কামাল হোসেন বলেন, যারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা স্বাধীনতা বিরোধী