নুসরাত রাফী একটি কালো অধ্যায় পরিবর্তনের প্রতীক
আজ সকাল ১০.৩০ মিনিটে নুসরাত জাহান রাফী হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংদীর শেখেরচর বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন মাঝার বাস্টেন আয়োজন করেন নরসিংদী জেলা মানবসেবা সংঘ। মানবন্ধনে সেবসংঘের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল হাসান বলেন –
যুগযুগ ধরে নুসরাতের মতো প্রতিবাদী মেয়ে বেঁচে থাকবে কাপুরুষদের চপেটাঘাত নাড়তে।
নুসরাত একটি আদর্শিক পরিবারের সন্তান হিসেবেই এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব হয়ে ছিলো
নৈতিক শিক্ষা পেয়েছে বলেই নুসরাত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে কুলাঙ্গারদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পেরেছেন। মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হলেই যে সে একদম ভালো হয়ে যাবে বিষয়টি ধারণা ভুল, কারণ। সিরাজ উদ-দৌলা সহ নুসরাত হত্যার সাথে জড়িত একজনও হুজুর নয়, সবাই রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী। সিরাজ উদ-দৌলা স্বয়ং রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত।
নুসরাতের হত্যার সাথে জড়িত সবাই সিন্ডিকেট সদস্যদের নিন্দিত চক্র। এরপরেও কেন হুজুর আলেম ওলামায়ে কেরাম কে নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে মিডিয়া পাড়ায়।
নুসরাত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন এটাতো স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে কোন মেয়ে করতে পারেনি? এতে সহজেই বুঝা যায় নুসরাতের অন্তরে ইসলামীক নলেজ ছিলো, আল্লাহর ভয় ছিলো, এর একমাত্র কারণ নৈতিক শিক্ষা।
নুসরাতের বিষয়ে পুরো পৃথিবীতে যেভাবে শোকের আবহ নেমেছে এর একমাত্র কারণ নুসরাত সৎ চরিত্রের অধিকারিণী ছিলো।
নুসরাতের বাবা মা দুই ভাইয়ের কান্নার রোনাজারিতে আকাশ বাতাস কেঁদেছে।
নুসরাতের মতো এভাবে প্রতিটি মেয়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠলে কলেজ মাদ্রাসা ইউনিভার্সিটিতে আর কোন কুলাঙ্গারের কুনজরে জীবন দিতে হবেনা এবং যৌন হয়রানির শিকারে লাঞ্ছিত হতে হবেনা কোন মেয়েকে।
নুসরাত সহ নির্যাতিত সকল নির্যাতনের দৃশ্যমান শাস্তি চাই।