দুই মেয়েকে খুন করলো বাবা!
ইমান২৪.কম: মা ও স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে দুই মেয়েকে খুন করল বাবা। গতকাল সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বড়বাড়ি গ্রামে। নিজের বাড়ির দুটি আলাদা ঘরে দুই নাবালিকা মেয়েকে গলার নলি কেটে খুন করে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় বাবা বিপ্লব দাস। পরে পুলিশ ভোর রাত্রে বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ আদালতে তোলা হবে ধৃতকে। হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বড়বাড়ি গ্রামে মা দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকত বিপ্লব দাস।
বড় মেয়ে সীমা দাস (১৪) অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোট মেয়ে পূজা দাস (১০) চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বিপ্লব কার্যত বেকার ও কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত। স্ত্রী সাগরিকা দাস ঠোঙা তৈরি করে ও বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। বউমাকে সাহায্য করতে শাশুড়ি সন্ধ্যারাণী দাস স্থানীয় একটি নার্সিং হোমে আয়ার কাজ করেন। গতকাল ৭টা নাগাদ সাগরিকাদেবী স্বামী ও দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাছের বাজারে যান। প্রায় আধ ঘন্টা পরে ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজায় তালা। ঘরে তালা দেখে কিছুটা চিন্তায় পড়ে যান সাগরিকাদেবী।
পরে প্রতিবেশীদের ডেকে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন দুটো আলাদা ঘরে দুই মেয়ের রক্তাত নিথর দেহ পড়ে আছে। প্রতিবেশীরা ভবানীপুর থানায় খবর দেয়। ঘটনার সময় বিপ্লবের মা সন্ধ্যারাণীও নার্সিং হোমে কাজে গিয়েছিলেন। পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত করে দেখে দুই মেয়ের গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে। বিপ্লব দাস খুন করার পর বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সাগরিকা দাস দুই মেয়েকে খুন কারার জন্য বাবা বিপ্লব দাসের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মা সাগরিকা দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করে রাখে পুলিশ। রাতভোর তল্লাসি চালিয়ে ভোররাত্রে প্রায় তিন কিলোমিটার দুরের ডালিম্বচক গ্রাম থেকে খুনের অভিযোগে বিপ্লব দাসকে গ্রেপ্তার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। আজ বিপ্লবকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। খুনের কারণ অবশ্য এখনো পরিষ্কার নয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের তিন দিন পর নদীতে যুবকের লাশ উদ্ধার
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে হেয় করছেন