ইমান২৪.কম: আসছে নির্বাচনে যেকোনও কায়দায় ভোটদানে বাধা দেয়া হলে সেটি স্বাধীনতাবিরোধী কাজ হলে বলে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘এবার সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এবার ভোটকেন্দ্রে কড়া পাহাড়া দিতে হবে। ভোটারদের পাশে থেকে তাদের ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কেবল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে পাহারা দিলে হবে না, দায়িত্বশীল সবাইকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।’

সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পাবলিক পলিসি’ নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আসন বণ্টন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘পিঠা ভাগ করতে গেলেও টানাটানি করতে হয়। এটা একটা চ্যালেঞ্জের কাজ।

আমি নিজেও ভাবতে পারিনি, এত দ্রুত এই জোট গঠন করা যাবে। যে কোনও জায়গায় কিছু ভাগ করতে গেলে কাড়াকাড়ি হবে। ভাগ করা মানেই কেউ পাবে কেউ পাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ চিঠি দিয়েছে। আজকে বিএনপি শুরু করেছে। আমাদেরও আলোচনা শুরু হয়েছে।

আশা করি আমরাও কালকের মধ্যে দিয়ে দেব। কাল না হলে পরশুর মধ্যে দিতেই হবে। কাজগুলো কঠিন, কিন্তু এগিয়ে নিতে হবে।’ ভোটকেন্দ্র পাহারার নামে ড. কামাল গৃহযুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছেন বলে ক্ষমতাসীনদের করা মন্তব্যের জবাবে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘ভোট পাহারা দেয়া কি গৃহযুদ্ধ?

ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার সঙ্গে গৃহযুদ্ধের কী সম্পর্ক? আমার বুদ্ধিতে কুলোয় না।’ ড. কামাল বলেন, ‘রাজনীতি আর ব্যবসা এক জিনিস নয়। বঙ্গবন্ধুকে অনেকবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি রাজনীতি করেননি। মাথা কেনা সম্ভব হলে একাত্তরে স্বাধীনতা কোনোদিন সম্ভব হতো না।

বঙ্গবন্ধুর একটি কথা ছিল, গরু-ছাগলের মাথা কেনা যায়, মানুষের মাথা কেনা যায় না।’ আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ড. কামাল হোসেন বলেন, যারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা স্বাধীনতা বিরোধী