জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে

ইমান২৪.কম: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত রায়টি ৬৩৮ পৃষ্ঠার। আজ বুধবার বিকালে এ রায়ের অনুলিপি দেয়া হয় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের। এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ইত্তেফাককে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পেয়েছি। এখন রায় পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা শেষে ৩/৪ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

তিনি বলেন, অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বহালের হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো পাইনি। ফলে ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সিএমপি আবেদন করা হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বেই এসব আবেদন করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় বিশেষ আদালত।

ক্ষমতা অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত ট্রাস্টের অনুকূলে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করায় খালেদা জিয়াকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ দণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া মামলার অপর তিন আসামি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে খালেদা জিয়াকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওই অপরাধে সহায়তার দায়ে খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক) ও সহকারি একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও

ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একই দণ্ড দেওয়া হয়। পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পনেরটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ওই রায় দেন। রায়ে বলা হয়, মামলার আসামি খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন থেকে অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ট্রাস্টের অনুকূলে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে করে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন,

তা কখনো কাম্য হতে পারে না। ভবিষ্যতে যাতে অনুরূপ দায়িত্বে থেকে কেউ ওই ধরনের অপরাধ করতে উৎসাহিত না হন, সে জন্য তাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করা আবশ্যক। আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের চাই ৮ উইকেট, জিম্বাবুয়ের ৩৬৭ রান রায়ে বলা হয়, ট্রাস্টের নামে সোনালী ব্যাংকের যে হিসাব খোলা হয়েছিলো ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি খালেদা জিয়ার একক স্বাক্ষরে তা পরিচালিত হত।

ট্রাস্টের নামে অর্থ আদায় ও ব্যয়ের যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, ম্যানেজিং ট্রাস্টি হিসাবে খালেদা জিয়া সবই জানতেন। তার অগোচরে ট্রাস্টে কোনো টাকা জমা হওয়ার কথা নয়। অন্য আসামির যোগসাজশে এসব টাকা আদায় করে তিনি অসদাচরণ করেছেন। এমনকি তারা যে উদ্দেশ্যে ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন তার একটিও বাস্তবায়ন করেননি।

ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় এ দন্ড দেওয়া হলো। মামলার অপর আসামিদের আইনজীবী এম আমিনুল ইসলাম ও মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ৬ পৃষ্ঠার আদেশসহ রায়টি ৬৩৮ পৃষ্ঠার। এখন রায় পর্যালোচনা করে আপিল করা হবে।

আরও পড়ুন: 

ফেসবুকে লাইক দিন