চীনে মুসলিমদের মদ-শুকুর খেতে বাধ্য করা হচ্ছে

চীনে মুসলিমদের মদ-শুকুর খেতে বাধ্য করা হচ্ছে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সেখান থেকে ফিরে আসা একাধিক ব্যক্তি। ওমর বেকালি নামে এক ব্যাক্তি জানান, আমাকে সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার কারা হয়। কেন গ্রেপ্তার করা হয়, তাও জানানো হয় না। এমনকি আমাকে আইনজীবী নিয়োগেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

সংশোধনাগারে থাকাবস্থায় ওমর বেকালি যখন তাদের দেওয়া খাবার খেতে অস্বীকার করতো, তখন তার ওপর নেমে আসতো নির্যাতনের স্টীম রোলার, এমনকি তাকে না খাইয়েও রাখতো। এক সপ্তাহ পর তাকে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়। সেটা ছিল আরো যন্ত্রণাময় স্থান।

২০ দিন পর সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাদের করা নজরদারির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। সংশোধনাগারে প্রায় দশ লাখ দেশি বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে কমিউনিস্ট বানানো কাজ চলছে। যারা তাতে রাজি না হয়, তাদের ওপর চলে নানা অত্যাচার।

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তারের ২০ দিন পর মনে হয়েছিল আমি আত্মহত্যা করবো। সেখানে আমাকে বিনা বিচারে আট মাস আটকে রাখা হয়।’ ‘সেখানে শারীরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। কোনো দিন আমি একটুও ঘুমতে পরিনি।’

চীন সরকার মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে আসছে। বিশেষ করে কথিত সংশোধনাগারের নির্যাতনের কথা। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, চরমপন্থি মুসলিমদের মোকাবেলা এবং রাষ্ট্রীয় আইন অমান্যকারীদের সংশোধন করতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন