ঘুমেই কেটেছে দীর্ঘ ১০ কোটি বছর!
মহাসাগরের তলদেশের তিন হাজার ৭০০ থেকে পাঁচ হাজার ৭০০ মিটার গভীর। সেখানেই প্রায় ১০ কোটি বছর ঘুমিয়ে ছিল তারা। প্রাগৈতিহাসিক যুগের এমন অণুজীবের খোঁজ পেয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা।
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্রোটোজোয়া, শৈবাল-ছত্রাক, আর্কিয়া—সংখ্যায়ও এরা লক্ষাধিক। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাগরের তলদেশে খাবার ও অক্সিজেনের প্রবল অভাব।
সেখানে কিভাবে কোটি কোটি বছর বেঁচে ছিল এই অণুজীবগুলো, তা আশ্চর্যের। যদিও সুপ্তাবস্থায় ছিল তারা। তুলে আনতেই ঘুম ভেঙেছে তাদের; ফের সজীব হয়ে উঠেছে।
জাপান এজেন্সি ফর মেরিন-আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমুদ্রবিজ্ঞানীরা এই আণুবীক্ষণিক জীবদের খোঁজ পেয়েছেন। ‘মাইক্রোবিয়াল লাইফ’ নিয়ে বড় ধরনের গবেষণা চলছে জাপানে।
এর অধীনে সাগরের গভীরে আণুবীক্ষণিক জীবের খোঁজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
এই গবেষণার সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, জাপানের কোচি ইউনিভার্সিটি ও মেরিন ওয়ার্কস।
গত মঙ্গলবার বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক ইউকি মোরোনো বলেন, ল্যাবরেটরিতে নিয়ে আসতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া ও আর্কিয়ারা।
খাবার দেওয়া হলে তা খেয়ে বিভাজিত হতেও শুরু করে তারা। এদের সক্রিয়তা এতটুকু নষ্ট হয়নি বলে জানান তিনি।
এই আণুবীক্ষণিক জীবদের জিনের গঠন বিন্যাস বের করলে সেই সময়কার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও জীববৈচিত্র্যের আরো বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দ্য ওয়াল অবলম্বনে।