গ্রেফতার করা হবে জানলে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতাম: অমির বাবা
ইমান২৪.কম: চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তে নেমে আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির মানব পাচার ও অবৈধ দখল কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধের ফিরিস্তি পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অমি ও নাসিরের বেশ কয়েকজন সহযোগীকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। বিশেষ করে অমির সহযোগী ও ব্যবসায়িক অংশীদার তুহিন কাজী ও নাজিম সরকারের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছে গোয়েন্দারা। অমি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানও চালিয়েছে পুলিশ।
এদিকে অমির বাবা তোফাজ্জল হোসেন তোফা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অমিকে গ্রেপ্তার করা হবে জানলে আগেই ছেলেকে বিমান ভাড়া করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতাম।’ তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘তিনি (সাহারা খাতুন) বেঁচে থাকলে কোনো চিন্তাই করতাম না। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছি।’ তোফাজ্জলের দাবি, অমি ও পরীমণি ছিল স্কুলজীবনের বন্ধু। তার সঙ্গে কোনো পারিবারিক বা আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। অমির জন্ম ঢাকার আশকোনায়। সেখানেই বড় হয়েছে। স্কুলজীবনে পরীমণির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। এরপর আর যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি (তোফাজ্জল) জানতে পারেন, পরীমণির করা মামলায় অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অমির বাবা এলাকায় তোফা হাজি বা আদম ব্যাপারী তোফা নামেই বেশি পরিচিত। টাঙ্গাইলের বাসাইলের গুল্যা গ্রামে তার বাড়ি।
এখন পর্যন্ত নাসির ও অমির কতজন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ডিবি কর্মকর্তারা। তবে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, গত বুধবার রাতে ঝালকাঠি থেকে জসিম উদ্দিন নামে একজনকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তিনি অমির মালিকানাধীন ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষকের আড়ালে নারী ও মানব পাচারে যুক্ত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লাসহ কয়েকটি স্থানে অমির সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়েছেন ডিবি সদস্যরা।
অমির সহযোগী তুহিন কাজী ও নাজিম সরকারের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, অমির সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী দলের সদস্য হিসেবে তুহিন কাজী ও নাজিম সরকারের কাজ করার বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। নাজিমকে প্রায়ই অমির সঙ্গে বিভিন্ন আড্ডায় দেখা যেত। তিনি রাজধানীর উত্তরখানে ‘উত্তরণ’ নামে একটি হাউজিং প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অনেক মানুষের অর্থ আত্মসাৎ ও জমি অবৈধভাবে দখল করে নেওয়ার অভিযোগও খতিয়ে দেখছেন ডিবি কর্মকর্তারা।
নাজিম সরকার সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, তিনি তুরাগ থানার ধৌড় এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি ও দখলবাজ হিসেবে পরিচিত। উত্তরা, বনানী, বারিধারা, গুলশান ও গাজীপুরে রিসোর্ট-ক্লাবকেন্দ্রিক তাদের গোপন কারবার রয়েছে। আর এ কারবারের প্রধান সমন্বয়ক নাজিমের চাচাতো ভাই টঙ্গীর অপু সরকার। তিনি টঙ্গীর আউচপাড়া বেক্সিমকো রোডে অল্প সময়ের মধ্যে ১৪ তলা একটি ভবন গড়ে তোলেন। নাজিম ও তুহিনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে টার্গেট করে তরুণীদের তাদের সিন্ডিকেটে আনতে বিশ্বস্ত এজেন্ট নিয়োগ করার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নাজিম ও তুহিনসহ অমির সহযোগীদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। অপরাধ জগতে তাদের বিচরণ অনেক দিনের। অমি, নাজিম ও অপুর কানাডায় সেকেন্ড হোম রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের বিষয়ে অনেক তথ্যই আমরা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’
তদন্তসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর উত্তরখানের উত্তরণ প্রপার্টিজের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন নাজিম সরকার। মীর কাশেমের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর নাজিম নিজেই উত্তরণ প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান হন। তিনি টঙ্গীর প্রভাবশালী নেতা হাসান সরকার ও সালাহ উদ্দিন সরকারের চাচাতো ভাই। গাজীপুরের কালীগঞ্জে তার রিসোর্ট ও উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ে রেস্টুরেন্ট রয়েছে। উত্তরার রয়েল ক্লাবেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। নাজিম ও তার চাচাতো ভাই অপু সাভারের বিরুলিয়ায় বোর্ট ক্লাব, গুলশানে এসিসি বা অল কমিউনিটি ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, পূর্বাচল ক্লাব, রয়েল ক্লাবসহ উত্তরায় ছোট-বড় সব ক্লাবের আজীবন সদস্য। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং সাইদ গ্রাউন্ডের পশ্চিম পাশে একটি বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। নাজিমের স্ত্রী রাকা এবং অপুর স্ত্রী পন্নী উত্তরা ও আশপাশের বেশ কয়েকটি ক্লাবের সদস্য। গাজীপুরের বাড়িয়া ইউনিয়নে নাজিমের ৩০০ বিঘা জমি, উলুখোলায় একটি রিসোর্ট ও ৭০ বিঘা জমিসহ নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি ও একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নাজিম তার চাচাতো বোনদের জিম্মি করে জমিজমা লিখে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন।
পাওনা টাকা চাওয়ায় বস্তায় ভরে শালবনে নিক্ষেপ : ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, বছর দুয়েক আগে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা বলে ৩০ জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন অমি। সিঙ্গাপুরে পাঠাতে না পারায় তার কাছে টাকা ফেরত চান এক এজেন্ট। টাকা না দিয়ে অমি ওই এজেন্টকে মারধরের পর বস্তায় ভরে গাজীপুরের শালবনে ফেলে আসেন। পরে গাজীপুর জেলা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এছাড়া দক্ষিণখানের আশকোনার সিরাজ মিয়া রোডে অমির ট্রেনিং সেন্টারের সামনে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শত শত লোক জড়ো হতেন। এমন অবস্থায় আবাসিক এলাকা থেকে ট্রেনিং সেন্টারটি তুলে দিতে রাজউকের কাছে আবেদন করেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু রাজউক অমির প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুদকের নজরদারি এড়াতে অমি তার ম্যানেজার পলাশের অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রেখে পরে পাচার করে দিতেন। অমিকে গ্রেপ্তারের পর তার অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিবারসহ পালিয়ে গেছে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ : ডিবির এক কর্মকর্তা গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, পরীমণির মামলায় নাসির মাহমুদ, অমি, লিপি, সুমি ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরীমণি ও জেমিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার কথা স্বীকার করলেও তারা নানা প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া গ্রেপ্তার তিন নারীর একজন নিজেকে অমির স্ত্রী বলে দাবি করেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন অমি। গ্রেপ্তার আরেক নারী নাসিরের স্ত্রী পরিচয়ে তার দেওয়া ভাড়া বাসায় থাকতেন। ডিবির ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে অমি ও নাসিরের অন্য সহযোগীদের ধরতে বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। বিশেষ করে অমির প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। তবে তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
বাসা ভাড়া করে নাসির-অমির বিনোদন : উত্তরার ১ ও ৪ নম্বর সেক্টরে দুটি বাসা ভাড়া করে ‘রক্ষিতা’ রাখতেন নাসির ও অমি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদল হতো তাদের ‘রক্ষিতা’। দুজনকে জেরায় এমন অনেক তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডিবি কর্মকর্তারা। আবাসন ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদের ‘রক্ষিতা’ হিসেবে পরিচিত নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর নাম পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাকে উত্তরার একটি নামকরা স্কুলে ভর্তি করে দেন নাসির। উচ্চতা কম হওয়ায় তাকে দেখতে বয়সে ছোট মনে হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তার বয়স ১৮ বছর। ৯ মাস ধরে নাসির তাকে উত্তরার একটি ভাড়া বাসায় রেখে ‘রক্ষিতা’ হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। ওই বাসায় রয়েছে অত্যাধুনিক আসবাবপত্র। আভিজাত্যের কমতি নেই। পরিচয়সূত্রে ওই তরুণীকে রাজধানীতে নিয়ে আসেন অমি। তরুণীর পরিবারের সদস্যরা পুরো বিষয়টি জানলেও আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় কোনো বাধা দেননি।
ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নারীসঙ্গী সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত অমির উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের যে বাসায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে সেখানেই থাকতেন অমির বান্ধবী। তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল নাসির ও অমির আরেক বন্ধু বাছিরের। উত্তরার ওই বাসায় দীর্ঘ সময় ধরে থাকছেন ওই নারী। নাসিরসহ অমির অন্য অতিথিদের দেখভাল করতেন ওই নারী। যে বাসায় প্রায় রাতেই বসত নাসির, অমি, পলাশ, তুহিন ও নাজিমসহ ঘনিষ্ঠ আরও অনেকের মদের আড্ডা। আসরে মাদকের পাশাপাশি অমি তার ব্যবসায়ী বন্ধুদের ওই বাসাতেই নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করতেন।
দক্ষিণখান থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার বাছির ওরফে পলাশ অমির অফিসের সহায়ক হলেও তিনিই মূলত অমির যাবতীয় অপকর্মের সাক্ষী। নাসির ও অমির সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তিন নারীর মধ্যে পলাশের বান্ধবীও রয়েছে। পলাশ ওই নারীকে সবার কাছে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে থাকেন। ব্যক্তিগত জীবনে বাছির বিবাহিত এবং সন্তানের জনক। অমির সহায়তায় বাছির উত্তরার একটি ভাড়া বাসায় রাখতেন তার ওই কথিত স্ত্রীকে। পলাশকে ছাড়িয়ে নিতে অমির বাবা আদম তোফাজ্জল এক লোককে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে থানায় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
গ্রামের বাড়িতে দানশীল পরিচিতি অমির : সরেজমিন গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের হাবলা ইউনিয়নের গুল্যা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, বাবার একমাত্র সন্তান অমি। বিশেষ দিন ছাড়া গ্রামে আসেন না। গ্রামে না এলেও সেখানে একজন দানশীল হিসেবেই তার পরিচিতি। পরীমণি-কান্ডে হতবাক তার গ্রামের লোকজনও।
স্থানীয়রা জানায়, অমির নামে ও বেনামে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অঢেল জমি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে খাবার হোটেল ও ক্লিনিকসহ বিলাসবহুল বাড়ি। অমির বাবা তোফাজ্জল হোসেন তোফা এলাকায় আদম তোফা নামেই পরিচিত। একসময় তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে কাজ করে ঢাকার আশপাশে ও গ্রামে জমি কেনেন। বর্তমানে তার অঢেল সম্পদ। একমাত্র সন্তান হওয়ায় এর উত্তরাধিকারী অমি। অমি সাত-আট বছর আগে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক হন। এর আগে অমির বাবা কৌশলে সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করে হঠাৎ কোটিপতি বনে যান। আগে তিনি বিএনপির সমর্থক থাকলেও বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থক। তবে তার কোনো দলীয় পদবি নেই বলে জানান বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম।
অমির বাবা তোফাজ্জল হোসেন মোবাইল ফোনে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি। আমি কেমন মানুষ তা আমার এলাকায় গেলেই বুঝতে পারবেন। আমি এলাকায় একটি এতিমখানা পরিচালনা করে থাকি। এছাড়া এলাকায় কয়েকটি মসজিদ নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। আমি পরিশ্রম করে সম্পদের মালিক হয়েছি।’
অমির বাবার বিষয়ে জানতে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মতিয়ার রহমান গাউছের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
গত ১৩ জুন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে পরীমণি তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। ওই ফেইসবুক পোস্টে তিনি বিচার চেয়ে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পরদিন সকালে সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাতপরিচয় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। ওইদিনই দুপুরে নাসির ও অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করেন ডিবি সদস্যরা। পরদিন উত্তরা থানায় মাদকের আরেকটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নাসির ও অমির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছেন দেশ রূপান্তরের টাঈাইল প্রতিনিধি আহমেদ রাসেল।