করোনা নিয়ে মজা করা ব্যাক্তিটি মারা গেল করোনায়
ইমান২৪.কম: করোনা মহামারির ভ্যাকসিন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপহাস করা ক্যালিফোর্নিয়ার সেই ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ভাইরাসটির সঙ্গে দীর্ঘ এক মাস লড়াই করার পর বুধবার লস অ্যাঞ্জেলসের বাইরে একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। খবর বিবিসি। মারা যাওয়া স্টেফেন হারমন হিলসং মেগাচার্চের সদস্য। তিনি টিকার বিরোধিতায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন।
টিকা না নেয়ার বিষয়ে রসিকতা করেছিলেন। জুনে টুইট করে তিনি বলেছিলেন, ৯৯টি সমস্যা ধরলেও টিকা যেন আরেকটি না হয়। করোনার সঙ্গে লড়াই করতে থাকলেও হারমনের ভাষ্য, তিনি টিকা নেবেন না, তার ধর্মীয় বিশ্বাসই তাকে রক্ষা করবে। হিলসংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান হিউস্টন বৃহস্পতিবার এক টুইটে হারমনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন>> ঈদের নামাজ চলাকালে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আফগান প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে রকেট হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ কমান্ডারসহ তালেবানের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ রাজধানী কাবুলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মীরওয়াইস স্তানিকজাই এক অডিও বার্তায় জানান, কমান্ডার মমিনসহ চার তালেবান সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্তানিকজাই আরও জানান, মমিন রকেট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। গ্রেফতার অন্যরাও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঈদুল আজহার দিন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আফগান প্রেসিডেন্টের বাসভবনের পাশে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। আফগান প্রেসিডেন্টের বাসভবনের পাশেই মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে।
রকেট হামলার সময় প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ঈদের নামাজ পড়ছিলেন বলে টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে। রকেট হামলার পরও নামাজ শেষে প্রেসিডেন্ট বাসভবনের চত্বরে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেন আশরাফ ঘানি। ঈদের দিন সকালে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অন্তত তিনটি রকেট হামলা চালানো হয় বলে স্তানিকজাই জানিয়েছিলেন।
তবে ঈদের দিনের রকেট হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। সাধারণ ঈদে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় তালেবার। তবে এবার আফগানিস্তানে অবস্থিত ১৫টি দেশের কূটনৈতিক মিশন এবং ন্যাটো তালেবানের কাছে ঈদে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালে তা নাকচ করে দেয় তালেবান। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে তালেবান যোদ্ধারা।