এই চেয়ারটাতে বসেই নামাজ পড়ছিলেন কুদ্দুস বেপারী!

ইমান২৪.কম: ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু-মুয়াজ্জিনসহ ১৪ জন মারা গেছেন।

এছাড়া চিকিৎসাধীন ২৩ জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান। ১৪ জন মৃতদের মধ্যে একজন ৭২ বছর বয়সি কুদ্দুস ব্যাপারী।

বয়সের কারণে চেয়ারে বসেই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম ফতুল্লা তল্লা মসজিদ এলাকার এ মুরুব্বি।

গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণের সময় তিনি চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করছিলেন। বিস্ফোরণের পর চেয়ারটি থেকে অনেকটা টেনে হেচড়ে বের করতে হয় কুদ্দুস বেপারীকে।

চেয়ারটির বেশিরভাগই স্থানে লেগে আছে পোড়া চামড়া। চেয়ারে নিচের স্থানটি ফুটো হয়ে যায়। বিস্ফোরণে কুদ্দুস বেপারীর শরীরের পেছনের অংশের উড়ে যায়।

চেয়ারটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে মসজিদের বাইরে পড়ে আছে।

জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব জানান, বিস্ফোরণের পর এই চেয়ারটিতে কুদ্দুস বেপারীর শরীর অনেকটা আটকে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে টেনে হিঁচড়ে বের করা হয়েছিল তাকে।

তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি কুদ্দুস বেপারীকে। নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কুদ্দুস বেপারীসহ এ পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি আরও জানান, যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন সবার মেজর বার্ন আছে।

ফেসবুকে লাইক দিন