ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতির মনোনয়ন জমা না নেয়ার অভিযোগ, জমা দেননি সহসভাপতিও

ইমান২৪.কম: ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর মনোনয়ন পত্র জমা নেয়নি উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। আর দলটির সহসভাপতি মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেননি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী ৩ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। আসনটিতে নির্বাচনের জন্য নিয়েছেন বেশ প্রস্তুতিও। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন ‍২৮ নভেম্বর ‘সময় শেষ হয়ে গেছে এ অভিযোগে’ তার মনোনয়ন জমা নেয়নি উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে ২৯ নভেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন বিকাল ৫ টার অনেক আগেই শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লোক পাঠান তিনি। কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে মনোনয়ন জমা নেয়া হয়নি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৫ টার অনেক আগেই মনোনয় জমা দেয়ার তার লোক অফিসে যায়। এছাড়া এ অফিসে ৫ টার পরও মনোনয়ন জমা নেয়া হয়েছে এমন প্রমাণ আছে।

এ বিষয়ে আগামী রোববার তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাবেক এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, বিএনপি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মন্জুর এলাহী ও খালেদা জিয়ার আইনজীবি এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, স্বতন্ত্র থেকে বর্তমান এমপি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, জাতীয় পার্টি থেকে আলমগীর কবীর, জাকের পার্টি থেকে রাজিব হোসেন রাতুল।

>>এখন দেশে কোনো জামায়াত নেই, যারা আছেন তারা এদেশের নাগরিক: কাদের সিদ্দিকী

এদিকে ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুললেও জমা দেননি একটিতেও।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাজোট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়ার কথা চলছিল। এ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। তালিকায় ছিলেন মাওলানা হাসানাত আমিনী ও জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী।

কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে গত ২৮ নভেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন ফরমই জমা দেননি।

এ নিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের অন্যান্য নেতারা কিছু জানেন না এবং তারা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হতাশ।

দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আনসারুল হক ইমরান বলেন, সব কাগজ পত্র চূড়ান্তই ছিল। ব্রাহ্মণাড়িয়া ২ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু কেন জমা দেননি সেটা বুঝতে পারছি না।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসন থেকে লড়ার জন্য মনোনয় ফরম তুলে ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার কর্মী সমর্থকরা জোরদার প্রস্তুতিও নিয়ে আসছিল।

দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাকাওয়াত হোসাইন রাজী নির্বাচন করছেন না। তবে কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতারা নির্বাচন করবেন। দল থেকে ৩৮ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের সঙ্গে শরীক হয়ে নির্বাচনের কথা শোনা গেলেও একসময় পিছিয়ে যায় ইসলামী ঐক্যজোট। শেষ পর্যন্ত মিনার প্রতীকে এককভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।

আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিতে পদত্যাগের হিড়িক; কার্যালয়ে তালা!

এসপি-ডিসি সবকিছুই তাদের, সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হবে: পার্থ

নির্লজ্জ ইসি, তার চেয়েও নির্লজ্জ সিইসি : মাহমুদুর রহমান মান্না

চাকরির আশ্বাসে আ’লীগ এমপিকে দেয়া ঘুষের টাকা ফেরত নিতে রাস্তায় অবস্থান চাকরিপ্রার্থীদের

ভোট কক্ষে ভিডিও বা স্থির চিত্র ধারণ অপরাধ, পর্যবেক্ষকরা কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশ নিষেধ

এত কথা বলে কি লাভ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা দিন না, দেখেন কে কতটা আসনে জেতে: মির্জা ফখরুল

ফেসবুকে লাইক দিন