ব্যাপক ক্ষতির মুখে আর্মেনিয়া, মারা যাচ্ছে অসংখ্য সেনা: যুদ্ধে এগিয়ে আজারবাইজান

ইমান২৪.কম: নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজানের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে আর্মেনিয়া। যুদ্ধে দিন দিন বাড়ছে দুদেশের নিহতের সংখ্যা। মঙ্গলবার পর্যন্ত (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ তে। যুদ্ধে কে এগিয়ে আছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

জানা গেছে, কারাবাখ এলাকায় দখলদার আর্মেনিয়দের থেকে টালিশ গ্রাম ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি ‘সুবিধাজনক উঁচু স্থান’ আজারবাইজানের সেনারা মুক্ত করেছে। ৪শ ভৌগলিক এলাকা লক্ষ্য করে ড্রোন, যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানসহ বিভিন্ন উপায়ে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে আজারবাইজানের সেনারা। ধারণা করা হচ্ছে এতে শতাধিক আর্মেনিয় সেনা নিহত হয়েছে।

মূলত গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে আর্মেনিয়ান বাহিনী আজারবাইজানের আবাসিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। আর্মেনিয়ান দখলদার নেতা আরায়িক হার্টিউইয়ান আজারবাইজানের সাফল্যের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন, নতুন সংঘর্ষের ফলে তারা আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর কাছে নাগার্নো-কারাবাখের কিছু এলাকা হারিয়েছে।

তার দাবি, এসময় সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, আজারবাইজান সেনারা সীমান্তের উঁচু পাহাড়ি এলাকা থেকে আর্মেনিয়ান সশস্ত্র বাহিনীকে হটিয়ে এসব সুবিধাজনক স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

পাল্টা আক্রমণ করে আজারবাইজান সেনারা সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। লিখিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে, বিপুল সংখ্যক আর্মেনিয়ান সেনা নিহত হয়েছে এবং “শত্রুদের” ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় আর্মেনীয় বাহিনীর উপর ক্রমাগত রকেট, আর্টিলারি ও বিমান হামলা চালিয়ে তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এ দুটি দেশ ১৯৯০ সাল থেকেই আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে আছে। ২০১৬ সালে এসে তা মারাত্মক রূপ নেয়। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে নাগরনো কারাবাখ নিয়ে রোববার নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় পৌঁছায়।

এ প্রেক্ষাপটে আর্মেনীয় সরকার সামরিক আইন জারি করে নিজ জনগণকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে বলেছে। আর্মেনিয়ার দাবি, প্রথমে আজারবাইজান বাহিনী তাদের বাহিনী লক্ষ্য করে গোলা ছোঁড়ে।

ফেসবুকে লাইক দিন