আশুলিয়ায় ৭ টুকরা লাশ উদ্ধারের পর এবার তার মস্তক উদ্ধার
ইমান২৪.কম: সাভার উপজেলার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির ৭ টুকরা লাশ উদ্ধারের পর এবার তার মস্তক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা জামাকাপড়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুলিয়া থানা পুলিশ নিশ্চিন্তপুর এলাকার আলী খাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষের ড্রামের ভিতর থেকে খণ্ডিত মস্তক উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, আটককৃত মানিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিশ্চিন্তপুর এলাকার আলী খাঁর ভাড়া বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি তালবদ্ধ কক্ষের ভিতর থেকে নিহত যুবকের রক্তমাখা জামাকাপড়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র এবং বিচ্ছিন্ন মস্তকসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহত মেহেদি হাসান টিটু একটি এমএলএম কোম্পানীর প্রতানার শিকার হয়েছে।
পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে দ্রুত বড়লোক বানানোর কথা বলে ভিশন এইড নামে একটি এমএলএম কোম্পানিতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও সেখান থেকে অর্থ না আসায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনার জের ধরেই পোশাক শ্রমিক মেহেদি হাসান টিপুকে হত্যা করে লাশটি গুম করার জন্য টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে বরফ দিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে রাতের আধাঁরে সুযোগ বুঝে মৃতদেহটি পার্শ্ববর্তী রাস্তায় ফেলে দেওয়া হলেও মস্তকটি ড্রামের ভিতরে থেকে যায়।
প্রাথমিকভাবে নিহতের স্ত্রী মৃতদেহটি এবং উদ্ধারকৃত মস্তকটি তার স্বামীর বলে দাবি করলেও এগুলো ডিএনএ টেস্টের জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে মৃতদেহ এবং উদ্ধারকৃত মস্তকের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ মিলে গেলেই পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে আশুলিয়া নিশ্চিন্তপুর এলাকার সড়কের ওপর পলিথেনের ব্যাগে ভরা ৭ টুকরো মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশের টুকরা উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে নিশ্চিন্তপুর এলাকার পারভিন ভিলার ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় অনন্ত গার্মেন্টস এর পোশাক শ্রমিক স্বপ্না বেগম মৃতদেহটি তার স্বামী মেহেদি হাসান টিটুর বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মানিক নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। নিহত টিটু যশোরের বাঘারপাড়া থানাধীন অন্তরামপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকির ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।