আট নারী অনুসারীকে ধর্ষণের মামলায় ধর্ম যাজকের ১৫ বছর কারাদণ্ড

ইমান২৪.কম: দক্ষিণ কোরিয়ায় আট নারী অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে মামিন সেন্ট্রাল চার্চের যাজক লি জে-রককে ১৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। তবে লি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

লি জানান, চার্চের নিয়ম না মানায় ওই নারীদের ‘বিচ্ছিন্ন’ করা হয়েছিলো। এখন তারা মিথ্যাচার করছে। পঁচাত্তর বছর বয়স্ক দণ্ডপ্রাপ্ত এই যাজকের ১ লক্ষ ৩০ হাজার অনুসারী রয়েছে। সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক চু মুন-সাং তার রায়ে বলেন, উপদেশ বাণী শুনিয়ে লি নিজেকে ‘পবিত্র’ মানুষ হিসেবে অনুসারীদের কাছে উপস্থাপন করতেন এবং অপকর্ম করতেন।

দীর্ঘদিন যাবৎ লি ওই নারীদের ধর্ষণ করেছেন। বিচারক যখন রায় পড়ছিলেন লি তখন চোখ বুজে ছিলো। লি ১৯৮২ সালে মাত্র ১২জন অনুসারী নিয়ে মামিন সেন্ট্রাল চার্চে ধর্মীয় উপাসনার কাজ শুরু করেন। এটি এখন সদর দপ্তর, অডিটরিয়ামসহ বড়সড় প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। চার্চটির ওয়েবসাইট অলৌকিক ঘটনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে লির তিন অনুসারী অভিযোগ করেন, লি তাদের অ্যাপার্টমেন্টে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী ওই নারীরা বলেন, লির ‘ঐশ্বরিক’ ক্ষমতা রয়েছে। তাই যাজক যা বলতেন নারীরাও তাই করেছেন। ধর্ষিত এক নারী কোরিয়ার গণমাধ্যমকে জানান, আমি তাকে বাধা দিতে পারিনি। রাজার চাইতে বেশি কিছু।

তিনি ছিলেন ঈশ্বর। শিশু থেকেই ওই নারী চার্চটির সদস্য ছিলেন। মে মাসে মোট আটজন নারী লি’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। কোরিয়ার চার্চগুলো প্রভূত অর্থ ও ক্ষমতার অধিকার করে থাকে। এদের একটি অংশ বলপ্রয়োগ, মগজধোলাই ও ভণ্ডামির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: 

ইন্টারনেট ও স্কাইপ বন্ধ করেও ঠেকানো গেল না তারেক রহমানকে

ফেসবুকে লাইক দিন